অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তেহরানে একদল ছাত্র, এন.জি.ও.কর্মী এবং নারী অধিকার কর্মী জাতিসংঘ দফতরের সামনে সমাবেশ করেছে। নারীর অবস্থান সম্পর্কিত জাতিসংঘ কমিশনের স্ববিরোধী আচরণের প্রতিবাদে আজ (বুধবার) ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে,স্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের মতো বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ডাকে আয়োজিত ওই সমাবেশে নারী অধিকার কর্মী এবং এনজিও কর্মী ছাড়াও নিরাপত্তা শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও যোগ দিয়েছে।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার বহন করে। ওইসব ব্যানার-পেস্টুনে ইরানে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে জাতিসংঘ কমিশনের বিদ্বেষি আচরণের নিন্দা জানানো হয়। সমাবেশ থেকে কমিশনের ওই আচরণকে নারীদের ব্যাপারে পশ্চিমাদের দ্বৈতনীতির মানদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা মারজিয়া হাশেমি ওই সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মাত্র পাঁচটি দেশের ভেটো দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এই সংস্থার কাছ থেকে কখনও ন্যায়বিচার দেখি নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মারজিয়া হাশেমি বলেন, পশ্চিমা মিডিয়াগুলো মিথ্যাচার করে, তাদের অপপ্রচারে কান দেওয়া উচিত হবে না।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নারীদের উদ্দেশে এই প্রতিবেদক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা আরও বলেন: একজন ইরানি নারী এবং ইরানে বসবাসকারী নারী হিসেবে আপনাদের গর্ব করা উচিত।
ইরনা জানায়, জাতিসংঘ হোয়াইট হাউসের হস্তক্ষেপকামী এবং ইরান-বিরোধী নীতির প্রভাবে প্রভাবিত। ইরানী নারীদের সমর্থনের অজুহাতে এই সংস্থা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শত্রুদের সাথে মিলে একটি বিপজ্জনক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা এমনকি ইরান থেকে একটি প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণের পথও রোধ করেছে। জাতিসংঘের ‘স্ট্যাটাস অব উইমেন’ বিষয়ক কমিশনে ইরানের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টিও পর্যালোচনা করার পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ।
Leave a Reply